করোনা মহামারি ঠেকাতে টিকা আনার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টিকা পেলেই সম্মুখসারিতে থাকা যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেটি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে গভীর সঙ্কটের মধ্য দিয়ে বিগত ২০২০ সাল অতিক্রম করতে হয়েছে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং উপর্যুপরি বন্যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। সেসব ধকল দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু করোনা সঙ্কট থেকে বিশ্ব এখনো মুক্ত হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ইতোমধ্যে ওই টিকা আমদানি ও ব্যবহারের অনুমোদনও দিয়েছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স-এর আওতায় আরো আড়াই কোটি ডোজ টিকা আগামী জুনের মধ্যে বাংলাদেশ পাবে বলে সরকার আশা করছে।
মহামারী সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসনের সদস্যসহ সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে করোনায় মৃতদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।