সেজেগুজে বিকাল এলেই লালমাটিয়ার বাসা থেকে বের হতেন গাড়ি নিয়ে। ফিরতেন গভীর রাতে, কখনো ভোরে। যাওয়ার সময়ে স্বাভাবিক থাকলেও ফেরার সময় অবস্থা ভিন্ন। সেজেগুজে বিকাল এলেই লালমাটিয়ার বাসা থেকে বের হতেন গাড়ি নিয়ে। ফিরতেন গভীর রাতে, কখনো ভোরে। যাওয়ার সময়ে স্বাভাবিক থাকলেও ফেরার সময় অবস্থা ভিন্ন।
চোখে-মুখে তীব্র নেশা। নেশায় বুঁদ হয়েই বাসায় ফিরতেন তিনি। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি দিন শেষে রাত ৩টার দিকে সেভাবেই অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণাকে দেখতে পান তার স্বামী কামরুল ইসলাম জুয়েল।কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না স্বর্ণাকে। কারণ তার আয়েই চলে মা, ভাই, ভাবীসহ কয়েক সদস্যের সংসার, বিলাসী জীবনযাপন।
রাতভর বাইরে থেকে অর্থ উপার্জন ছাড়াও নানা ধরনের প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জুয়েল ছাড়াও প্রতারণা করেছেন আরো অনেকের সঙ্গে। ২০১৯ সালে দুই লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রোমানা ইসলাম স্বর্ণা। অবাধে প্রতারণা ও বেপরোয়া জীবনযাপন করলেও কাউকে তোয়াক্কা করতেন না তিনি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, স্বর্ণার রয়েছে হাইপ্রোফাইল কানেকশন। প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। জুয়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে বিভিন্ন কৌশলে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেন এই অভিনেত্রী। টাকা চাইতে গেলেই দেই, দিচ্ছি করেন। একপর্যায়ে ব্ল্যাকমেইল ও বিয়ের ফাঁদ পাতেন স্বর্ণা। জুয়েল দাবি করেন, বাসায় ডেকে নগ্ন ছবি ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করার উদ্দেশ্য ওই টাকা ফেরত না দেয়া। বরং বিয়ের নামে তাৎক্ষণিক দেনমোহর বাবদ ১০ লাখ টাকা নেন স্বর্ণা।
Stay Updated With CHANNEL 7 TV. Download Our App Now - Click To Download