সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস'র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় নদীগুলোতে বিপৎসীমার ৪-৬ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।পানির চাপে দুর্বল বেড়িবাঁধের ৯টি পয়েন্ট ভেঙ্গে গেছে। ফলে বাঁধ ভেঙ্গে ও উপচে পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এদিকে ভাটা শুরু হলেও কমেনি নদীর পানি।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে ভেঙে গেছে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের তিনটি পয়েন্টের বাঁধ। এতে প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।
এছাড়া বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুর ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ উপচে লোকালয়ে লবণাক্ত পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনিয়া, হরিশখালিসহ প্রতাপনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টও একই অবস্থা বিদ্যমান।
গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, লেবুবুনিয়াসহ তিনটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে। নদী উত্তাল থাকায় ও বৃষ্টি হওয়ায় আমরা এসব এলাকায় এখনো পৌঁছাতে পারিনি।
শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল জানান, কদমতলা ও হরিনগরের তিনটি পয়েন্ট বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে।
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল বলেন, দাতিনাখালি এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি প্রবেশ করছে। দুর্গাবাটি বাঁধটি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ উপচে লবণাক্ত পানি ঢুকার খবর পেয়েছি। বাঁধ ভাঙার খবর পেয়েছি তিনটি জায়গায়। নদী এখনো উত্তাল থাকায় আমরা এখনও এসব এলাকায় পৌঁছাতে পারিনি ।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.ন.ম. আবুজর গিফারী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে সরকারী সাহায্য হিসাবে প্রতিটি ইউনিয়নে নগত ২৫ হাজার টাকা ও ২টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আক্রান্ত এলাকায় শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।