||| দেশগ্রাম | CHANNEL 7 TV

সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার না কমায় চলমান লকডাউন চতুর্থ দফায় আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে বিপদসীমার উর্দ্ধে থাকা সীমান্তবর্তী এই জেলায়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় আরো ৭ দিনের এই লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। 

আগামীকাল শুক্রবার রাত ১২টায় তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হবে। এরপর থেকেই শুরু হবে চতুর্থ দফার লকডাউন।বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এর আগে গত ২৩ মে থেকে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক ভাবে অবনতি হতে শুরু করে। একপর্যায়ে গত ৩ জুন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় ৫ জুন রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে ৭ দিনের জন্য সাতক্ষীরা জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

চলমান লকডাউনে জনগণের অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণে শহরের মোড়ে-মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। রাস্তায় বাঁশ ও চেয়ার টেবিল ফেলে যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। তবে বিশেষ জরুরি পরিসেবা লকডাউনের আওতামুক্ত রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ।চলছে না দুর পাল্লার কোন যান।

জেলায় এই কড়া লকডাউনের মধ্যেও গ্রামে-গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ার মতো করোনার নানা উপসর্গ। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। ভোমরা স্থলবন্দরে সীমিত পরিসরে চলছে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে দোকানপাট খোলা রাখা, স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।