আব্দুর রাজ্জাক মির্জা ||| বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন সাং ইসলাম নগর জাবেদের বাড়ির ভাড়াটিয়া, পিতা: মৃত আনোয়ার হোসেন ও মাতা মৃত: নাগিনা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ ওমর চান (৪২) এর ছেলে মোঃ সানোয়ার হোসেন (২০)কে হত্যার ঘটনায় নিজে বাদী হয়ে নামীয় ৭ এবং অজ্ঞাত নামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে কামরাঙ্গিরচর থানার মামলা নং ৮, জিআর নং ৪৫৭/২০২১, তারিখ: ০৭/০৯/২০২১ ইং, ধারা : ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি দায়ের করেন। সহকারী পুলিশ সুপার লালবাগ জুন কে এন নিয়তি রায় ও অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে এসআই শিহাবুল ইসলাম,এসআই হিমায়েত আরো কিছু পুলিশ সদস্য নিয়ে খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় কামরাঙ্গিরচর থানা পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে ভিকটিমের সাথে আসামীদের একটি তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে গত ০৬/০৯/২০২১ ইং তারিখ মামলার বাদী মোহাম্মদ ওমর চানের ছেলে ভিকটিম সানোয়ার হোসেন (২০) বাসা হতে ভাত খেয়ে রাত অনুমান ৮:৩০ ঘটিকায় সময় মামলার ঘটনাস্থল কামরাঙ্গীরচর থানাধীন মোমিনবাগ ৩ নং গলি মাথায় গেলে আসামীরা বাদীর ছেলেকে ইকরা একাডেমীর সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাহাদের সাথে পূর্বের বিরোধের কারণে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সকল আসামীরা বাদীর ছেলেকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে এই সময় ১ নং আসামী নুর আলম ওরফে নুরা (১৭)'র সাথে থাকা চাকু দিয়ে ভিকটিম সানোয়ার হোসেন (২০) এর বাম রানের সামনের অংশে আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে আসামীরা পালিয়ে যায়। ভিকটিমের চিৎকার শুনে তার বন্ধু রাহাত (১৭), হৃদয় (১৮) এবং অনিক (১৭) দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ দিন রাত ৯:২৮ ঘটিকার সময় ভিকটিম সানোয়ার মারা যায়। ভিকটিমের পিতা বাদী ওমর চান সংবাদ পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ছেলে সানোয়ার হোসেন (২০)কে মৃত: অবস্থায় দেখতে পান। পরে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে লাশের সুরাতাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।
পরবর্তীতে বাদী ১। নুর আলম ওরফে নুরা (১৭) পিতা: কাশেম বাবুর্চি, মাতা: নয়ন তারা বেগম সাং মনি হহাইদ্দা থানা শিবচর জেলা মাদারীপুর। বর্তমান: বড়গ্রাম চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় রানা কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা। ২। রাব্বি (১৬) পিতা: মোঃ কামাল, মাতা: রাশিদা বেগম সাং কাইলকা বাড়ি থানা অজ্ঞাত জেলা বাগেরহাট। বর্তমান কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা। ৩। শাহ আলম (১৭) পিতাঃ মোঃ জবান আলী, মাতা: শামসুন্নাহার সাং অজ্ঞাত, থানা অজ্ঞাত, জেলা লালমনিরহাট বর্তমান: মাদবর বাজার রানা, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা । ৪। মেহেদী হাসান (১৮) পিতা: মৃত আনু নবী, মাতা: পারভীন, থানা ঈশ্বরদী, জেলা পাবনা। বর্তমান : ডোবার মাঠ রানা, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা । ৫। রহিত (১৮) পিতা: বাবু, সাং অজ্ঞাত, থানা: কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা ৬। বাবু (১৯) পিতা: আব্দুল মালেক, সাং কোনাপাড়া, থানা: বাউফল, জেলা পটুয়াখালী। বর্তমান: মোমিনবাগ আছারওআলা ঘাট গলি, তৃতীয় তলা, বুড়ির বাড়ি, থানা কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা। ৭। জিহাদ (১৬) পিতা: পিতাঃ মোঃ মাসুদ, মাতা: বৃষ্টি বেগম, সাং বর্তমান: আশার আলো ঘাট, থানা কামরাঙ্গীরচর, ঢাকাসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দাখিল করলে নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জানতে চাইলে মামলার বাদী মোহাম্মদ ওমর চান বলেন, কিছু দিন আগে হওয়া ঝগড়া বিবাদের একটি তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে আসামীরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি এর ন্যায় বিচার চাই। মামলার পর পরই কামরাঙ্গিরচর থানা পুলিশ মামলার ৭ জন আসামীর মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় একারনে এবং অপর আসামী গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরাঙ্গিরচর থানার এসআই শিহাবুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার পর আমরা ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। মামলার তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও অনুসন্ধান চলছে। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন।