⚫ আমিনুল ইসলাম, ব্যুর প্রধান, ফরিদপুর:
ফরিদপুরে এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে বুথ থেকে টাকা তোলার ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে জালিয়াতির টাকার বড় একটি অংশ জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ওই দম্পতি হলেন ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা বদরুল ইসলাম ওরফে তাসিন (৩৫) এবং তাঁর স্ত্রী মাহি আক্তার ওরফে উর্মি (২৪)।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সদরপুর উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের বাসিন্দা কালাম ব্যাপারী (৫৬) উপজেলার মনিকোঠা বাজারের ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক। সম্প্রতি একটি এটিএম কার্ডের জন্য আবেদন করেন তিনি। ওই এজেন্ট আউটলেটের সাবেক কর্মচারী বদরুল ইসলাম ওরফে তাসিন এটিএম কার্ড সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন। কালাম ব্যাপারীকে কার্ড না দিয়ে তাঁর স্বাক্ষর নকল করে এটিএম কার্ডটি নিজের কাছে রেখে দেন বদরুল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কালামের বাড়ি গিয়ে কৌশলে তাঁর কাছ থেকে ওটিপি নিয়ে কার্ডটি সচল করেন বদরুল।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বদরুল ইসলাম এবং তাঁর স্ত্রী মাহি আক্তার ফরিদপুর শহরের হাইস্কুলের মার্কেট ও নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংকের দুটি বুথ থেকে কালাম ব্যাপারী হিসাব থেকে এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা তুলে নেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা জামাল পাশা বলেন, এ ঘটনায় কালাম ব্যাপারী পুলিশ সুপারের কাছে সহযোগিতা চান। পুলিশের একটি সাইবার দল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বদরুল ও মাহিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে এক লাখ চার হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন কালাম ব্যাপারী। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাহুল অনিক বলেন, ইসলামী ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা এ ঘটনায় জড়িত আছে বলে এখন পর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ বুধবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।