স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। ঈদের আগমূহুর্তের ভিড় আর দুর্ভোগ এড়াতে ঘরমুখো মানুষের অনেকেই আগেভাগে বাড়িতে রওনা হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে ছোট গাড়ির চাপ। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে ৯টি ফেরিতে শুধুমাত্র হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি সংখ্যা কম হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বাড়ি ফেরা মানুষের বাসযাত্রায় চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া নৌরুটেও। এই পথে চলাচলকারী ২১টি ফেরির মধ্যে সচল রয়েছে ১৯টি।
বুধবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রতিটি ট্রেন এক-দেড় ঘণ্টা দেরি করে ছেড়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে গরমের দীর্ঘ সময় স্টেশনে অপেক্ষার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। এছাড়া সড়কপথে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দাউদকান্দি এলাকায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আরিচা ও মাওয়া ফেরিঘাটে ছিল যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোর থেকেই পথে নেমে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে উদ্বোধনের আগেই খুলে দেয়া হয়েছে গাজীপুরের নাওজোড় ও সফিপুর ফ্লাইওভার। এতে চন্দ্রা, সফিপুর, কোণাবাড়ি, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা পয়েন্টে যানজট আগের তুলনায় কমেছে। একই অবস্থা সিরাজগঞ্জের নলকা সেতু পয়েন্টে। এই পথগুলোতে কোনো বাধা ছাড়াই ঘরমুখো মানুষ পার হতে পারবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।