করোনা মহামারীর দুই বছর পর আবার দেখা মিলল ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের চিরচেনা সেই ঈদুল ফিতরের রঙিন উৎসবের। মহান আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনায় আত্মশুদ্ধির পর দিনটি এসেছে আনন্দ আর উৎসব হয়ে।
মঙ্গলবার সকালে ঈদের নামাজের পর সারাদেশেই উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। এরপর সেখানে পর্যায়ক্রমে ৮টা ও ৯ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও সকাল ১০টায় আরেকটি জামাতের পর বেলা পৌনে ১১টায় সেখানে অনুষ্ঠিত হবে শেষ ঈদ জামাত।
মুসলিম জাতির সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিমদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
ঈদ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয় কেন্দ্র, সেইফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, দুঃস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল শিশু পার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনাটিকেটে যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।