▌যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে। সন্দেহভাজন এবং নিশ্চিত হওয়া মাঙ্কিপক্সের নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ফ্রান্স, ইতালি এবং সুইডেনে সর্বশেষ নতুন করে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও পর্তুগালে কয়েকজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে, কানাডায় ১৩ জনের সন্দেহজনক নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
যেভাবে ছড়ায়
বিজ্ঞানীদের মতে, ‘মাঙ্কিপক্স’ জলবসন্ত (চিকেনপক্ষ) ভাইরাসের পরিবারভুক্ত ও ছোঁয়াচে। আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের দেহে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন—বিরল এ ভাইরাস প্রাণীদেহ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছে।
সাধারণত মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সাধারণ ‘ফ্লু’ বা ঠান্ডাজনিত অসুখের মতো অসুস্থতা ও লিম্ফ নোডের (শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার একটি অঙ্গ) ফোলা দিয়ে শুরু হয়ে ফুসকুড়ি ও ফোসকার মতো ক্রমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি প্রধানত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইন ফরেস্ট অঞ্চলে শনাক্তের তথ্য এত দিন ছিল। কিন্তু, এখন ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের খবর সামনে আসছে।
কতটা বিপজ্জনক মাঙ্কিপক্স, উপসর্গ কী কী?
মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রধান উপসর্গগুলো হলো—জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথা, খিঁচুনি, অবসাদ এবং সারা গায়ে ছোপ ছোপ দাগ।
বেশির ভাগ সংক্রমণ দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয়। সাধারণত, এ ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, ফুসকুড়ি ও লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের দাবি—জীবিত বা মৃত বন্য প্রাণীর মাংস খেলে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।
শরীরের তরল, ঘা, খোলা ক্ষত স্থানের সংস্পর্শে এলে বা দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগের পরে শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে নির্গত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে। রোগের সময়কাল সাধারণত ছয় থেকে ১৩ দিন। তবে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের লক্ষণগুলো সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যেও দেখা দিতে পারে।█