১০ বছর আগে ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে আহসান আলী ওরফে ভাদাইম্যার শরীরে। চিকিৎসকের পরামর্শে ভারতেও গিয়েছিলেন চিকিৎসা নিতে। পরে দেশে এসে প্রতিমাসেই রক্ত দিতে হতো শরীরে। ছুটে গেছেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে। ক্যানসারের পাশাপাশি লিভারেও পানি জমেছিল তার।

অনেক স্বপ্ন ছিল আবার সুস্থ হয়ে দর্শকদের হাসাবেন। শুটিংয়ের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। আজ রোববার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন।

ব্যক্তি জীবনে আহসান আলী ভাদাইম্যা দু'টি বিয়ে করেন। তাদের ঘরে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে জন্ম নেয়। বড় ছেলে মোতালেব সৌদি আরব প্রবাসী। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। মেজ ছেলে মজিবর রহমান বাবার গড়ে তোলা ইউটিউব চ্যানেল চালান আর ছোট ছেলে হৃদয় হাসান কোরআনে হাফেজ হয়েছেন।

এদিকে আহসান আলী ভাদাইম্যার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকে স্তব্ধ হয়ে পুরো গ্রামের মানুষ। তার গ্রামের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন লোকজন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে ভক্তবৃন্দ। বিকেলের দিকে তার লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছে। সেখানে সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও ভক্তবৃন্দরা।

আজ রাত ৯ টায় দাইন্যা রামপাল জামে মসজিদ ঈদগাহ মাঠে প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মুসুল্লিদের ঢল নামে। প্রথম জানাজা পড়ান আহসান আলীর ছোট ছেলে হাফেজ হৃদয় হাসান। লোক সমাগম বেশি হওয়ায় একই স্থানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।