আজ ৯ অক্টোবর (রোববার), ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)। পরে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
কুরআনুল কারীমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ‘মীলাদ’ অর্থাৎ তাঁর জন্ম, জন্ম সময় বা জন্ম উদযাপন বা পালন সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। কুরআন করীমে পূর্ববতী কোন কোন নবীর জন্মের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, তবে কোথাও কোনভাবে কোন দিন, তারিখ, মাস উল্লেখ করা হয়নি। অনুরূপভাবে ‘মীলাদ’ পালন করতে, অর্থাৎ কারো জন্ম উদযাপন করতে বা জন্ম উপলক্ষে আলোচনার মাজলিস করতে বা জন্ম উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশের কোন সুনির্দিষ্ট কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র আল্লাহর মহিমা বর্ণনা ও শিক্ষা গ্রহণের জন্যই এসকল ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। ঐতিহাসিক তথ্যাদি আলোচনার মাধ্যমে এর আত্মিক প্রেরণার ধারাবাহিকতা ব্যহত করা হয়নি।
‘ঈদ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ খুশি হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উদযাপন করা ইত্যাদি। আর ‘মিলাদ’ শব্দের অর্থ জন্মতারিখ, জন্মদিন, জন্মকাল ইত্যাদি। তাই ‘মিলাদুন্নবি’ (স.) বলতে নবিজির আগমনকে বোঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ (স.) বলতে নবি করিম (স.)-এর আগমনে আনন্দ উদযাপন করাকে বোঝায়। তাই অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আঁধারের বুক চিড়ে মহানবি (স.) শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিকনির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলেন। মহানবি (স.)-এর পবিত্র শুভাগমনে খুশি উদযাপন করাটাই হচ্ছে ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ (স.)।