বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সমাবেশস্থলে বাড়তে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। সমাবেশ শুরুর কয়েকঘণ্টা আগেই বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে মিছিল-স্লোগান নিয়ে আসতে শুরু করেছে দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশের অলিগলিতে অবস্থান নিতে দেখা গেছে অনেককে। হাতে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন।
লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম দুই জেলা থেকে রংপুর শহরে প্রবেশ করা যায় নগরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকা দিয়ে। আজ সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে দেখা গেছে, প্রায় ১০০ মিলিমিটার দূরের এলাকা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে একটি বড় মিছিল শহরে প্রবেশ করে। এরপর সকাল আটটা পর্যন্ত একে একে লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ী এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসেছে। সেই সঙ্গে ওই এলাকার শত শত অটোরিকশায় নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশস্থলের দিকে যান। ৯০ কিলোমিটার দূরের এলাকা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা থেকেও কয়েক শ অটোরিকশা শহরে প্রবেশ করে। এভাবে কুড়িগ্রামের উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, লালমনিরহাট সদর ও বড়বাড়ী এলাকা থেকেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল আটটার মধ্যে রংপুরে শহরে প্রবেশ করেছে।
অন্যদিকে, রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ডাকা লালমনিরহাটে বাস ধর্মঘট চলছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে বিএনপির সমাবেশের দিন শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। এদিকে ধর্মঘটের কারণে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক শুক্রবার সকাল থেকে আটকে আছে।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। ধর্মঘটের কারণে বিএনপির রংপুর বিভাগের আজকের সমাবেশে যোগ দিতে বিকল্প উপায়ে বাইসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও ঘোড়ার গাড়িতে করে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।