দ্বাদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচনের এখনও এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে। নির্বাচনের সময় যতো কাছাকাছি আসবে, রাজনীতির স্বাভাবিক নিয়মে বিভিন্ন দলীয় তৎপরতা এবং ইতিবাচক-নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। বিভিন্ন দলের মধ্যে অনেক কিছু পরিবর্তন হবে, হিসাবে আসবে নানা সমীকরণ।

নির্বাচনের সময় কোন সরকার থাকবে, ইভিএম থাকবে কিনা, জনগণ কি ভোট দিতে পারবে.. এরকম নানা বিষয়ের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-দুর্নীতি-অর্থপাচার-গুম-মামলা ইস্যুতে আন্দোলন করছে দেশের অন্যতম বৃহত্তর দল বিএনপি। তারা বিগত দুই নির্বাচনের একটি পুরো বয়কট এবং আরেকটি নির্বাচনে অংশ নিলেও ছিল দ্বিধাগ্রস্ত। বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি আসন্ন নির্বাচনে যাবে না, তা আগেই জানিয়েছে। বর্তমানে দেশজুড়ে সমাবেশ-মহাসমাবেশ করছে তারা।

বিএনপি ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে। সেদিন আসলে ঢাকাতে কী ঘটতে যাচ্ছে, এই আলোচনা এখন সর্বত্র। একদিন আগে আওয়ামী লীগও সমাবেশ ডেকেছে। এখন পর্যন্ত যে প্রস্তুতি, তাতে মুখোমুখি অবস্থানের একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপি তাদের ঘোষিত গণসমাবেশ যাতে রাজধানী ঢাকার বাইরে সরিয়ে নেয়, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেই বিষয়ে একধরনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নয়াপল্টনেই তাদের গণসমাবেশ করতে চায়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি এক প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, ‘৭টি সমাবেশে জনস্রোত দেখে সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গোটা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। যেসব বিভাগে সমাবেশ হয়ে গেছে, সেখানে হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। বাকি তিনটি সমাবেশে যাতে লোকসমাগম না হয়, সে জন্য মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার কৌশল হিসেবে এখন মহানগরীতে বিএনপির নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নেতারা কেউ বাসায় থাকতে পারছেন না।’

ওদিকে, মানুষের বাসযোগ্য ঢাকাকে সচল রাখার দায়িত্ব ডিএমপি কমিশনারের বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপির জন্য ছাত্রলীগের অনুষ্ঠান এগিয়ে এনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান খালি করে দিয়েছেন। তাই সার্বিক বিবেচনায় পুলিশ কমিশনার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে সমাবেশ করলে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ অন্যান্য বিবেচনায় যা ভালো হয়, পুলিশ কমিশনার তাই করবেন।