💳‘টাকা-পে’ হল এক ধরনের ডেবিট কার্ড। এ কার্ডের মাধ্যম প্রচলিত ভিসা বা মাস্টার কার্ডের মতই লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, 'টাকাপে’-র মাধ্যমে দেশের বিদেশি কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমবে। এই সঙ্গেই প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। বুধবার, এই কার্ডের উদ্বোধন করে বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা জানান, এটা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ করার একটি বড় পদক্ষেপ। এই কার্ড দুর্নীতি রুখতে, বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং রাজস্ব আদায়েও গতি সাহায্য করবে বলে জানান তিনি।
🔘 কীভাবে কাজ?
বাংলাদেশের ৮টি ব্যাংক প্রাথমিকভাবে এই কার্ড ইস্যু করবে। আপাতত তিনটি ব্যাংক চালু করেছে ‘টাকাপে’ কার্ড। আগামীদিনে আরও অন্য ব্যাংক এই কার্ড চালু করবে। ব্যাংকের আধিকারিকরা জানান, টাকাপে কার্ডের ধরন হবে ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মতই। এখন এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে বাংলাদেশেই। খুব তাড়াতাড়ি এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে ভারতেও।
🔘 কীভাবে পাওয়া যাবে কার্ড?
কেউ নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুললে এই কার্ড পাবেন। যাদের অ্যাকাউন্ট পুরাতন তাঁরাও এই কার্ড পেতে পারেন। তবে, সেক্ষেত্রে আগে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে যে ডেবিট কার্ড নেওয়া হয়েছিল তা বন্ধ করে দিয়ে ‘টাকাপে কার্ড’ নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম 'ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ' ব্যবহার করে জাতীয়ভাবে একই পরিষেবা দেবে টাকাপে কার্ড। এখন গ্রাহকদের যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে তাতেও এই কার্ড পেতে পারেন তারা।
🔘 কার্ড ইস্যু করেছে কোন ব্যাংক?
বাংলাদেশের ৮টি ব্যাঙ্ক পাইলটভিত্তিতে এই কার্ড ইস্যু করবে। পরে অন্যান্য ব্যাংক এই কার্ড ইস্যু করতে পারবে। এখন এই কার্ড ইস্যু করছে ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। আপাতত সোনালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক এই টাকাপে কার্ড চালু করেছে।
🔘 ব্যবহার ভারতে
বাংলাদেশের বাসিন্দারা ‘টাকা পে’কে ডেবিট কার্ড হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। তাঁরা যখন ভারতে আসবেন তখন নগদ টাকা সঙ্গে আনার দরকার নেই। কারণ এই কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন তাঁরা।