আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ জানুয়ারি জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচন নিয়ে কোন মহলেরই প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। দেশের ইতিহাসে এই সুষ্ঠু নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

টানা চতুর্থবারের মত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য মঙ্গলবার সকালে গণভবনে নেতাকর্মীরা দলীয় সভাপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীদের সাথে কোন দ্বন্দ্ব-সংঘাত করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতো দলের মধ্যে ২-৪ টা দল নির্বাচনে না আসলে কিছু যায় আসে না। নির্বাচনের এখানে জনগণের অংশগ্রহণ ছিলো। ধন্যবাদ জানাই নির্বাচন কমিশনকে। চমৎকার নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে আসেনি তাদের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভোগে। এবারের নির্বাচনে তারা আর বলতে পারবে না, যেটা তারা বলেই বেড়াতো, যে রাতে সিল মারবে… এবার বলার সুযোগ নেই। জনগণ বিএনপির ভয়াল রুপ দেখে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এর পর থেকে যত নির্বাচন আমরা দেখেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল এবং অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা বড় খেলা খেলতে চেয়েছে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে, নির্বাচন হতে দেবে না। মুরব্বিদের (বিদেশি) পরামর্শে চললে বাংলাদেশের আর চলা লাগবে না। যদি সৎ পরামর্শ হয়, সেটা ভালো কথা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা নির্বাচন হতে দেবে না, তাদের কিছু মুরব্বি আছে, বাংলাদেশের মানুষকে তারা চেনে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষকে দাবায় রাখতে পারবে না, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের মানুষ সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কোন প্রভু নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের শক্তি।

সোমবার গণভবনে স্ব স্ব দেশের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। এসময় রাষ্ট্রদূতগণ তাঁদের দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণের অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দেন।

রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে ছিলেন জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, মালয়েশিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, ওমান, কাতার, সৌদিআরব, পাকিস্তান, মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিন।