
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) সাবেক চিপ ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রী গৃহিণী শামসুন্নাহারের নামে কর্মরত থাকা অবস্থায় শতকোটি টাকা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে বলে একাধিক সূত্রে জানায় । এ বিষয়ে ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবরে সাংবাদিক মোঃ মাজেদুল ইসলাম একটি দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ পত্রটি কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদকের কাছে সংবাদ পরিবেশনের জন্য দেয় এরই ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি অনুসন্ধানি টিম গঠন করা হয়। অনুসন্ধানে দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার সংবাদকর্মী, দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকার সংবাদ কর্মী এবং মফঃস্বল পত্রিকার সম্পাদক, দেশ টিভির সম্পাদক অনুসন্ধানে যায়। এ প্রতিবেদককে সাংবাদিকেরা জানায় অনুসন্ধানের স্বার্থে ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন এর সাথে ও তার স্ত্রীর সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা কোনভাবেই অনুসন্ধানে সহায়তা করে নাই।
এ প্রতিবেদককে অনুসন্ধানে থাকা সাংবাদিকগন আরো জানায় তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায় বাড়ি নং ৫৬ রোড নং - ৩/এ ধানমন্ডি ৩/এ, এবং ৩/বি দুইটি ফ্ল্যাট ক্রায় করে । এছাড়া এই দুর্নীতিবাজ (অবঃ)কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উলন মৌজায় ২,৮ শতাংশের একটি প্লট একই মৌজায় ৪১২,৫, অজুতাংশ ভূমি ক্রয় করে।সাংবাদিকগণ এ প্রতিবেদককে আরো জানয় তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে গৃহিণী স্ত্রী শামসুন্নাহারের নামে আফতাব নগরে তিনটি প্লট, গাজীপুরে ৫ একর জমি, গুলশান ২ এ রয়েছে তিনটি ফ্ল্যাট, নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার তিনটি প্লট। এছাড়া এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার ঢাকা ডেমরায় ৩,৫ কাঠের ২ টি প্লট, এর পার্শ্ববর্তী রয়েছে আরো ৩ কাঠার একটি একটি প্লট, সংবাদকর্মী গন এ প্রতিপাদকে আরো জানায় তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায় মোহাম্মদপুরে ছয় তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি রয়েছে গৃহিণী স্ত্রী শামসুন্নাহারের নামে।
এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সাভার আশুলিয়ায় স্ত্রী সন্তানদের নামে বেনামে ২ দুই বিঘা জমি ক্রয় করেছ। একাধিক সূত্র এই অনুসন্ধান টিমকে জানায় (অবঃ) ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বরিশাল শহরে ও তার পৈত্রিক বাড়ি পিরোজপুরে এবং স্ত্রীর বাবার বাড়ি পটুয়াখালী বাউফলে কয়েক কোটি টাকা সম্পদ ক্রায় করে। অনুসন্ধান টিম বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রী শামসুন্নাহারের ট্যাক্স ফাইল তুলে দেখে যে ট্যাক্স ফাইলের সাথে তার অবৈধ সম্পদের অসংগতি রয়েছে। যেখানে অনেক বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, স্বর্ণালংকার উল্লেখ না করে সরকারের কর ফাঁকি দিচ্ছে।