মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সিদ্ধান্ত জানায়। চার সপ্তাহ পর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। এ সময়কালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকারের দেয়া পরিপত্র বহাল থাকবে।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
অন্যদিকে, সরকারি চাকরিতে যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ সকাল-সন্ধ্যা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছেন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে প্রথমে শাহবাগ অবরোধ করেন তারা।
কোটাবিরোধীরা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন দাবি করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বলেন, ৭১ সালে যে স্বাধীনতা হয়েছে তোমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছ। এখানে শরীক হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা। আমরা এই যুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরাও আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরাও রাস্তায় থাকবো
এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, আমরা কোনো ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানছি না। আমাদের এক দফা দাবি "সংসদে আইন পাস করে সরকরি চাকরির সকল গ্রেডে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫শতাংশ) কোটা রেখে সকল ধরণের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে।