ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে গণভবনকে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’ করাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহিদ ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত শহিদি মার্চ কর্মসূচি শেষে রাত সাড়ে ৭টায় এ দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার।

এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আমাদের শহিদেরা, আমাদের শক্তি'৷ 'আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ', 'এই যুদ্ধে জিতবে কারা, আমাদের শহিদেরা', 'আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত, সেই রক্ত কোনদিনই পরাজয় মানে না', 'শহিদের স্মরণে ভয় করি না মরণে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

দাবিগুলো হলো-

১. গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

২. শহীদদের পরিবারকে দ্রুত আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দিতে হবে।

৩. প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. গণভবনকে জুলাই স্মৃতি যাদুঘর ঘোষণা করতে হবে।

৫. রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।

আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ছাত্র জনতার গণভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সে রক্ত এবং স্পিরিট বৃথা যেতে দেব না। এখনো অনেক ফ্যাসিস্টদের অস্তিত্ব রয়েছে, আমরা ফ্যাসিস্টদেরকে এবং ফ্যাসিবাদী চিন্তা লালন করা মানুষদের বলতে চাই, এই স্বাধীন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আচরণ করার চেষ্টা করবেন না। কোনো চাদাবাজ ও সিন্ডিকেট এই বাংলাদেশে হবে না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের যে ভাইয়েরা এই স্বাধীনতা আনতে রক্ত দিয়েছে, আমরা তাদের রক্তের মূল্য দিতে যেকোন সময় নিজেদের রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।