নয়াদিল্লির লোধি গার্ডেনের লুটেনস বাংলো জোনে একটি সুরক্ষিত বাড়িতে রয়েছেন তিনি। ভারত সরকারই তাঁর থাকার জন্য বাড়িটির ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার মর্যাদা অনুসারে তাঁকে থাকার জন্য বেশ বড়সড় বাংলো দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের বাংলো ভারতের মন্ত্রী, পার্লামেন্ট সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে শেখ হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে দ্য প্রিন্ট ওই বাংলোর প্রকৃত ঠিকানা বা সড়ক নম্বর প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিরাপত্তার খাতিরে যথার্থ প্রটোকল সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনা মাঝেমধ্যে লোধি গার্ডেনে হাঁটতে বের হন। শেখ হাসিনার জন্য কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাদাপোশাকে ২৪ ঘণ্টা তার চারপাশে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই পর্যায়ের নিরাপত্তা পাচ্ছেন উল্লেখ করে ওই সূত্র বলছে, তিনি এই বাড়িতে দুই মাসের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন।
কয়েকটি সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গত ৫ আগস্ট বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে করে বাংলাদেশ থেকে দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। সেদিন তাঁর সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বিমানঘাঁটিতে দেখা করেন। এরপর দুদিনের মধ্যে তিনি বিমানঘাঁটিটি ছেড়ে যান।