রাবি প্রতিনিধি:
২০২৫ সালের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয়পত্র বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দটি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে আদিবাসী ছাত্রজনতার ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আদিবাসী শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি ক্যাম্পাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, “জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো', 'আমার ভাইকে মারলো কেন, রাষ্ট্র তোমার জবাব চাই', 'লড়াই হবে সমান তালে, পাহাড় কিংবা সমতলে', 'আমরা নই উপজাতি, আমরা সবাই বাংলাদেশি', 'তোমার আমার পরিচয়, আদিবাসী আদিবাসী”।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আদিবাসী শিক্ষার্থী জুসমিতা সরেন বলেন, “আমাদের আদিবাসীদের ওপর যে অত্যাচার টা হয়েছে তা সবাই দেখেছে। ঢাকায় শান্তিপূর্ণ মিছিল তারা করতে পারিনি, আমরা আদিবাসী বলে আমাদের মত প্রকাশ করতে গিয়ে কী আমরা মার খাবো? উগ্রবাদীরা আমাদের ওপর আক্রমণ করে, আমাদেরকে বলে আমরা দেশ ভাগ চায়, আমরা যদি দেশ ভাগই চাইবো তাহলে আমরা কখনো দেশের জন্য লড়াই করতাম না। আমরা আদিবাসী আমরা এটা দাবি করি, আপনারা প্রমাণ করতে পারবেন আমরা আদিবাসী নই? আমরা যদি নিজেদের বাঙালি দাবি করি উল্টো আপনারা আমাদের নিয়ে ট্রোল করবেন। আমার পরিচয় আমি আদিবাসী এবং আমি আদিবাসী পরিচয়েই স্বীকৃতি পেতে চাই।"
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী রাবি শাখার সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, “দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আমরা দেখছি, ক্ষমতাসীনরা মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে। কেনো আদিবাসী শব্দটি যুক্ত করতে চান না? আপনারা ঐক্যের কথা বলেন, অথচ পাহাড় ও সমতলে ঐক্য স্থাপন করতে ব্যর্থ হন। নতুন সরকারকে আহ্বান জানাই—আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার ফিরিয়ে দিন।”
এসময় মিছিলে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি বিজয় চাকমা। মশাল মিছিল ও সমাবেশে বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষার্থী একাত্মতা প্রকাশ করেন।