রাবি প্রতিনিধি :

বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের নামে গুটিকয়েক ছাত্র আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। কোটা আন্দোলনে আমরাও কোটা বিরোধী ছিলাম,আমরাও কোনোদিন কোটা চাইনা, কিন্তু গুটিকয়েক শিক্ষার্থী আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার, মৌলিক অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে চায়।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে ৩ দিন ব্যাপি মানববন্ধনের দ্বিতীয় দিনে এধরনের কথা বলেন অফিসারস কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবিতে) পোষ্য কোটা বাতিলের পর থেকে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। গত ২ জানুয়ারি প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ দুজন উপ-উপাচার্যকে প্রশাসন ভবনের মধ্যে তালা লাগিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন বাধ্য হয়ে পোষ্য কোটাকে সম্পুর্নভাবে বাতিল করতে বাধ্য হয়। এটা মেনে নিতে না পেরে গতকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা আন্দোলন শুরু করে এবং আগামীকাল পর্যন্ত তা চলবে। উক্ত মানববন্ধনে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নানা ধরনের বক্তব্য রাখে।


মোক্তার হোসেন (সভাপতি রাবি অফিসার সমিতি) বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে।আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য, ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আরো কঠোর অবস্থানে যাব। কষ্ট হয় যখন দেখি ২ তারিখে আমাদের সাথে কি করা হয়েছিলো। সম্পূর্ণ অসামাজিক, মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে আমাদেরই নাম ধারী কিছু ছাত্র, কর্মকর্তা কর্মচারীদের অজান্তেই প্রসাশন ভবনে তালা লাগিয়ে বক্স, মাইক দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, যা বলার মতো না।

তিনি আরো বলেন, কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিম্মি করে বাইরে নাচ গান করা, যেভাবে স্লােগান দেওয়া হয়েছে এগুলো কি কোনো সভ্য সমাজের আচরণ হতে পারে? অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের সন্তাদের অধিকার যতদিন না পর্যন্ত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে আমাদের সংগ্রাম চলবে।

আগামীকাল সারাদিনব্যাপী আন্দোলনে অবস্থান নিয়ে এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করার আহবান জানানো হয় সবাইকে। এসময় ৩ শতাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী উপস্থিত ছিলো।