চলতি বছরের ২৯ মার্চ তথা আগামীকাল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। পৃথিবী ও চাঁদ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, এর ফলে সূর্যের বিপরীতে পৃথিবী এবং চাঁদের অবস্থান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন হতে হতে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী যখন একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমে অবস্থান নেয় তখনই হয় সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণ।
বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী শনিবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে। শেষ হবে ৬টা ৪৩ মিনিটে। কিন্তু গ্রহণ চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছাবে ৪টা ৪৭ মিনিটে।
বাংলাদেশ থেকে দেখা না গেলেও আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আটলান্টিক এবং উত্তর মহাসাগর থেকে তা দেখা যাবে।
সূর্যগ্রহণের ক্ষতি ও সাবধানতা সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য থেকে অতিবেগুনি রশ্মি ছড়িয়ে পড়ে, যা খালি চোখে দেখলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো একেবারেই বারণ। গ্রহণ দেখতে চাইলে কাঁসার পাত্রে পানি রেখে বা বিশেষ সুরক্ষা চশমা ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে।
কুসংস্কার এবং বিজ্ঞান বাংলাদেশে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, গর্ভবতী নারী যদি সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় কাটাকাটি করেন, তবে গর্ভস্থ সন্তানের অঙ্গহানি ঘটে। এই ধারণা সম্পূর্ণ কুসংস্কার। বিজ্ঞান বলছে, সূর্যগ্রহণ প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক ঘটনা, এর সঙ্গে কোনো অশুভ বা কুসংস্কারের সম্পর্ক নেই।
সূর্যগ্রহণ নিয়ে প্রচলিত ধারণা সূর্যগ্রহণের সময় জন্ম নেওয়া শিশু সম্পর্কে অনেকেই বলেন, তারা হয় অসুস্থ হবে অথবা খুব চালাক হবে। কিন্তু এই ধারণার পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি বা প্রমাণ নেই।
সূর্যগ্রহণের সময় যা করবেন না – সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকাবেন না। – গ্রহণের সময় সূর্য দেখা থেকে বিরত থাকুন বা সুরক্ষিত পদ্ধতি ব্যবহার করুন। – কুসংস্কার এড়িয়ে চলুন এবং বৈজ্ঞানিক সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।
সূর্যগ্রহণ প্রকৃতির একটি সুন্দর ও স্বাভাবিক ঘটনা। এটিকে কুসংস্কারের চোখে না দেখে বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা উচিত।