টাঙ্গাইলে দশ বছর বয়সী মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জোরপূর্বক গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। সালিশে ধর্ষণের মূল্য দেড় লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও পরিবারের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ৯২ হাজার টাকা। বাকি ৫২ হাজার টাকা মাতাব্বররা ঘুষ নেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ঘটনা জানাজানি হলে দশজনকে আসামি করে মামলা দেয়া হলেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ দাবি করছে, ঘটনা জানা মাত্র মামলাসহ আসামি ধরতে তৎপর হয়েছেন।
শিশুটির মা বলেন, ঘটনার দিন তার মেয়ে নিকটস্থ নানার বাড়ি বড়ই পারতে গিয়েছিল। তখন ওই গ্রামের ফিরোজ মিয়া (৪৫) শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে একটি টয়লেটের ভেতর ধর্ষণ করে। ঘটনার পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি কান্নাকাটি করায় তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে তার সাথে হওয়া ঘটনার বর্ণনা দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে মালেক, বাবুল ও ফাজুসহ কয়েকজন মাতাব্বর বিষয়টি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় তিনি বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছিলেন না। মাতাব্বররা শাস্তি হিসেবে ধর্ষককে ১০ বার জুতাপেটা ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে। বিচার শেষে নগদ ৯২ হাজার টাকা ও একমাস পরে বাকি ৫৮ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শিশুটির মা কোনো টাকা বুঝে পাননি।
টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচ.এম. মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী ফোনে যমুনা নিউজকে বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে কয়েকজন কিছুদিন আগেই এলাকা ছাড়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে যারা সালিস আয়োজন করেছিল, তাদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে।