শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

ঘুষ দুর্নীতির শীর্ষে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ( ডেসকো) শাহ আলী সহকারী প্রকৌশলী শাহিদ


স্টাফ রিপোর্টারঃ 

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি ( ডেসকো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ শাহ আলী মিরপুর, ১২৫/ এ,হেলথ সায়েন্স উপকেন্দ্র বিভাগ, দারুসসালাম রোড মিরপুর ঢাকা -১২১৬। এর সহকারী প্রকৌশলী শাহিদ এর সিন্ডিকেট ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

এ প্রতিবেদক কে গণতদন্ত পত্রিকার সাংবাদিক হাসমত মিয়া জানায় কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঘুষের বিনিময় সেকশন -১ ব্লক- জি, প্লট নং- ১/১, চিড়িয়াখানা রোড, থানা শাহআলী মিরপুর -১, উক্ত প্লটের মালিক মৃত বন্দে আলী মিয়া, বন্দে আলী মিয়ার ভাড়াটিয়া ইমাম হোসেন নাসিম গ্লাস ফ্যাক্টরি দেওয়ার জন্য দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে আওয়ামী সরকারের প্রভাবে অবৈধভাবে জবর দখল করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন বিহীনভাবে অবৈধ ভাবে চতুর্থ তালা মার্কেট নির্মাণ করে যার নাম দেয় (নাসিম টাওয়ার) ।

ঐ অবৈধ টাওয়ারে কোন প্রকার অনুমোদনবিহীন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময় সহকারী প্রকৌশলী শাহিদের সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে সাব স্টেশনে সংযোগ প্রদান করে বলে জানায়। এ প্রতিবেদক নিউজের স্বার্থে অনুসন্ধানে ভূমির মালিক মৃত বন্দে আলীর ছেলে শাহজাহানের কাছে জানতে চাইলে শাহজাহান জানায় অবৈধ নাসিম টাওয়ারে যাতে বিদ্যুৎ এর সাব স্টেশন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়া হয় তার জন্য বিগত ২ মার্চ ২০২৫ খ্রি : ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বরাবর ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রি : প্রধান পরিদর্শক বৈদ্যুতিক লাইসেন্সিং বোর্ড এবং ৭ মার্চ ২০২৫ খ্রি : নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড ডেসকো বিক্রয় বিতরণ বিভাগ শাহ ওয়ালী বরাবরে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ দায়ের করি। এরপরেও সাবস্টেশন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় বিগত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি : সাংবাদিক হাসমত নিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনে সহকারী প্রকৌশলী শাহিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে।

এ প্রতিবেদককে সাংবাদিক হাসমত মিয়া জানায় অভিযোগের সত্যতা নিউজ এর স্বার্থে যাচাই-বাছাই করার জন্য মিরপুর প্রেস ক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও দৈনিক মফস্বল বার্তা পত্রিকার সংবাদ কর্মী সাথি বেগম সহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে যায়। নির্বাহী কৌশলীর সাথে কথোপকথনের রেকর্ড সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী এ বিষয়ে জানায় নাসিম টাওয়ার এর পক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য কেউ আবেদন করেনি সংযোগ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না কিন্তু সাংবাদিকরা জানায় আপনার দপ্তর থেকে সংযোগ দিয়েছে এবং সংযোগ চালু রয়েছে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয় তিনি। বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হলে বৈধ মালিকানা কাগজপত্র এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত নকশার ফটোকপি ও ছাড়পত্র দিতে হয় যেহেতু আবেদনই করেনি সেহেতু অবৈধ ভবনে কীভাবে সংযোগ দিল আপনার অধীন কর্মচারী কর্মকর্তাগণ এই প্রশ্নের উত্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী জানায় এ বিষয় আমি কিছু জানি না যদি কেউ সংযোগ দিয়ে থাকে আমি বিচ্ছিন্ন করে দেবো। তবে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে এ প্রতিবেদক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি বলে জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী জানায় ২৩ শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রি : সংযোগ টি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র ২৩ এপ্রিল তার অফিসের লোকজন সংযোগটি আরো সুন্দরভাবে লাগিয়ে দিচ্ছে ।

কাজেই এ বিষয়ে পত্রিকার সংবাদসহ অভিযোগগুলো নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হবে কীসের ভিত্তিতে এই সংযোগ দেয়া হলো অবহিত করার জন্য । ভূমির ভাড়াটিয়া ইমাম হোসেন নাসিম অবৈধ একটি বরাদ্দ দেখায় যা ১৯ ৮১ সালের এ প্রতিবেদক নিউজ এর স্বার্থে অনুসন্ধানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে যোগাযোগ করে ফাইলে দেখতে পায় ইমাম হোসেন নাসিম নামে কোন বরাদ্দ নাই এবং ২০০০ সালে বিজ্ঞ আদালতে ইমাম হোসেন নাসিম উপস্থিত হয়ে আদালতকে জানায় সে বারবার গৃহায়নে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেও বরাদ্দ-পত্র পায় নাই এতে প্রতীয়মান হয় যে ইমাম হোসেন নাসিমের বরাদ্দ পত্রটি অবৈধ ও ভুয়া। প্লটটি পাকিস্তান সরকার একোয়ার করলে বাংলাদেশ সরকার ২০০২ সালে অবমুক্ত করে দেয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে বন্দে আলীর পক্ষে কাজেই প্লট টি ব্যক্তি মালিকানা। অবৈধ ভবনের বিষয় নাসির হোসেন নামের এক সাংবাদিক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে অভিযোগ করলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মহাখালী জোন ৩/১ বর্তমানে ৩/২ প্রথমে নকশা মঞ্জুরি চেয়ে নোটিশ করে তা দেখাতে না পারলে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রধান করে সন্তোষ জনক জবাব না দেওয়ার কারণে রাজউক কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করে। সর্বশেষ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ লিভ টু আপিলে প্রধান বিচারপতির সমন্বয় সাত সদস্যে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বন্দেআলীর পক্ষে রায় প্রদান করেন রাষ্ট্রপক্ষের মামলায়।

এ প্রতিবেদক মৃত বন্ধু আলীর ছেলে শাহজাহানের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগের সাথে বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়েছে কিনা এ প্রশ্নে শাহজাহান জানায় সকল বৈধ কাগজপত্র দিয়েই আমি অভিযোগ করেছি তারপরেও অবৈধভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) বিক্রয় ও বিতরণ বি বিভাগ শাহ আলীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এই অবৈধ ভাবে সাবস্টেশনের সংযোগ দিয়েছে। বিষয়টি ডেস্কোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানায় ভূমির মালিক মৃত বান্দা আলীর ওয়ারিশগণ।