আলহাজ্ব মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ" - সাবেক ভিপি ঢাকা কলেজ

একান্ত আলাপকালে এ কথাগুলো বলেন নিজস্ব প্রতিবেদক রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা :

সম্মানিত ঢাকা-০৭ আসনের এলাকাবাসী। সৃজনী সুন্দর মনের বিশালতা নিয়ে ঢাকা-০৭ আসনের সর্বস্তরের জনগনের সুপরিচিত মুখ,ন্যায়- নিষ্টাবান,বিশিষ্ট সমাজসেবক, জনদরদী গরিবের বন্ধু,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, যিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ খ্রি: বিএনপির একজন মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। আপনাদের সম্মুখে একজন প্রার্থীর পরিকল্পনা ও আহবান নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।

সম্মানিত এলাকাবাসী আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এবং বুঝেন দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক অবস্থা একটি দারুন সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকার না হলে
১)ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অন্যায় ভাবে আকড়ে থাকে ২)রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয় ৩) জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় জবাবদিহিতা থাকে না ৪) স্বৈরশাসক তৈরি হওয়ার মাধ্যমে ফ্যাসিজম কায়েম হয় ৫) মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয় না ৬)রাষ্ট্র থেকে সমাজ প্রতিটা স্তরে স্বৈরতন্ত্র বিস্তৃত হয়। আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হবে, উন্নয়নের ব্যাঘাত ঘটবে, জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হবে সরকার, আমদানি রপ্তানির পাশাপাশি অর্থ সংকটে পড়বে দেশ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এবং সংস্কৃতি সকল ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটতে থাকবে।

যেমন ধর্ষিতার হার ক্রমেই বেড়ে চলছে, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি ও অনৈতিক কাজের বোঝা নিয়েই ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে দেশ, দিনাতিপাত করে যাচ্ছেই সরকার কোনভাবেই মিটছে না জনগণের স্বস্তি। দেশের উক্ত সংকট উত্তোরণের জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের জনগণ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে একটি সুন্দর পরিকল্পনা ও সরকারের সদ্দিচ্ছা। এই প্রচেষ্টাকে সফল করতে ঢাকা-০৭ আসনে শিক্ষা সম্পৃক্ত একজন মানবিক, দানবীর, শিক্ষানুরাগী,সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের সমর্থন ও প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার জন্য, আমাদের সকলের প্রিয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ দোয়া চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

রাজনৈতিক পরিবার: মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ একজন দক্ষ সংগঠক এবং সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। একজন কৃতি ছাত্র হিসেবে দেশের সেরা ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের অজস্র ছাত্ররা যাকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে একাধিকবার ও বিভিন্ন পদে সম্মানিত করেছেন। ঐতিহ্যবাহী বিক্রমপুর তথা মুন্সিগঞ্জ জেলার - শ্রীনগরের ইতিহাসখ্যাত এক শিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান জনাব," মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ " তার জ্যেষ্ঠ অগ্রজ ছিলেন কবি হাসমী আল মাহমুদ তিনি একজন লেখক ও গবেষক ছিলেন , যিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে বিভিন্ন সময়ে সফরসঙ্গী হয়ে কাজ করেছেন। তারই অগ্রজ সদস্য -ছাত্রদল প্রতিষ্ঠাকালীন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও সাবেক সহ-সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, ২৬ নং ওয়ার্ডের (আজিমপুর) একাধিকবারের সাবেক নির্বাচিত সফল কমিশনার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। আরেক অগ্রজ, নির্বাচিত সাবেক ভিপি ঢাকা কলেজ ছাত্রসংসদ, সাবেক "সাধারণ সম্পাদক" স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, বর্তমানে যিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ পুরাতন ঢাকা হিসেবে খ্যাত(ঢাকা ০৭ আসন লালবাগ, চকবাজার,বংশাল ও কোতোয়ালি আংশিক) মহানগরীর অত্যন্ত আভিজাতপূর্ণ এলাকা আজিমপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।

আলোকিত পরিবার : মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ পারিবারিকভাবে একজন সুখী ও সমৃদ্ধ বটে। তিনি পারিবারিকভাবে " স্ত্রী " দুই পুত্র সন্তানের জনক। তার স্ত্রী একজন মহিষী ও ধর্মপরায়ণ নারী , ব্যক্তি জীবনে একজন গৃহিণী। তার রয়েছে দুই পুত্র সন্তান, জ্যেষ্ঠ পুত্র - ব্যারিস্টার মীর ফারহান আলী ফাতিন, একজন মানবিক ও দক্ষ সমাজ সেবক,পেশায় একজন আইনজীবী। বিবাহিত জীবনে রয়েছে " স্ত্রী " যিনি একজন পেশায় আইনজীবী,বিলাতে উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি অর্জন করেছেন বার-এ্যাট -ল। কনিষ্ঠ পুত্র : মীর ফারমান আলী ফিদা, একজন আইনের মেধাবী ছাত্র। সাংগঠনিক কার্যক্রম : মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ ঢাকা কলেজের সবুজ চত্বর থেকে রাজপথ,রাজপথ থেকে কারাগার, জনগণ ও ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বুক চিতিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে যিনি সর্বময় লড়াই সংগ্রাম করেছেন। রাজপথ থেকে জনতার কাতারে সামিল হয়েছেন, পর্যায়ক্রমে হয়ে উঠেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সংগঠনের দক্ষতা : ব্রিটিশ সরকারের হাতে গড়া একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরাতন ঢাকার স্বনামধন্য স্কুল, ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুল । এই বিদ্যাপীঠ থেকে হাতে খড়ি জীবনের প্রথম শেখা শুরু এখান থেকেই রাজনীতির সূত্রপাত, স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, যিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আদর্শমূলক বানী উপস্থাপন করতেন এবং পুরস্কার বিতরণ করতেন সেই সুবাদে তার সান্নিধ্য লাভ করেন, পরবর্তীতে তার আদর্শের প্রতি অনুসরণ করে ছাত্রদলের সদস্য পদ গ্রহণ করেন। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা পাঠ্যক্রম শেষ করে (এস.এস.সি)মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। উচ্চ শিক্ষার আলো জালাতে, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ (এইচ.এস.সি)একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন, পরবর্তীতে মেধার ভিত্তিতে জীবনকে আলোকৃত করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপনা করেছেন। ঢাকা কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত হন ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথমে ধর্ম ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, তারপরে ঢাকা কলেজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের "সাধারণ সম্পাদক"নির্বাচিত হন ও সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী পদ পরিক্রম।