শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত- প্রাণহানীর সংখ্যা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে সন্দেহজনক!!


গতকাল সোমবার ২১ জুলাই ১০টা ৩২ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি F-7 BGI প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের দাবি, নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়াতে পারে।

দুর্ঘটনার সময় বিদ্যালয়ের ক্লাস চলছিল এবং ভবনের ভেতরে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবস্থান ছিল। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরকারি হিসেবে নিহত:
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর (বিমানচালক) ১৯ জন শিশু শিক্ষার্থী ২ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে একজন, মহেরিন চৌধুরি, দগ্ধ অবস্থায় পরে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আহত প্রায় ১৭১ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা:
দুর্ঘটনার সময় স্কুল ভবনের ভেতরে কমপক্ষে ১০০–১৫০ শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন বলে জানায় বেঁচে ফেরা ছাত্ররা। অনেক শিক্ষার্থী এখনো নিখোঁজ এবং স্থানীয়রা বলছেন, ধ্বংসস্তূপে পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া লাশ পাওয়া গেছে, যেগুলোর পরিচয় শনাক্ত কঠিন।

একজন ছাত্র জানায়,
“ক্লাস চলছিল। হঠাৎ কানের পর্দা ফাটানো শব্দ, তারপর আগুন। জানালা ভেঙে কোনওভাবে বেঁচে ফিরেছি। কিন্তু আমার পাশের দুই বন্ধু নেই।”

তাই, পুড়ে যাওয়া দেহ শনাক্তে DNA টেস্টের প্রয়োজন, ফলে প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা জানাতে সময় লাগছে। এখন পর্যন্ত সরকারি তালিকায় অনেক নিখোঁজের নাম নেই, যার ফলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে।

সরকারি প্রতিক্রিয়া:
বিমান বাহিনী ও সরকার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সারাদেশে আজ এক দিনের শোক। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে, “সত্যতা জানতেই তদন্ত চলছে, দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”