শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

রাবি ছাত্রদলের তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার


রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব, কর্মী হাসিবুল হাসান ও সাবেক সদস্য ফারুক হোসেনের উপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) দলটির দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত পৃথক দুই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব এবং কর্মী হাসিবুল হাসানের পদের অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হলো। এর ফলে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় আর কোনো বিধিনিষেধ রইল না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য ফারুক হোসেনের পদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। এর ফলে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় আর কোনো বিধিনিষেধ রইল না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক কর্মীর সঙ্গে ছাত্রদল নেতা আহসান হাবিবের ৫২ সেকেন্ড ও হাসিবুল ইসলামের ২ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের পৃথক দুইটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়।

২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে হাসিবুল ইসলাম হাসিব ছাত্রলীগের ওই কর্মীকে বলেন, ‘শুনেন এখন আপনাদের (ছাত্রলীগ) সব থেকে বড় শত্রু কে জানেন? জবাবে ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, কে ভাই? হাসিব বলেন, কে বড় শত্রু বলেন তো? ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, এ বিষয়ে আমার আইডিয়া নেই ভাই। হাসিব বলেন- সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী। এরা হচ্ছে শিবির। সাধারণ শিক্ষার্থী মানেই শিবির। তারা কিন্তু আপনাকে ছাড় দেবে না। আমাদের মামলার লিস্ট দেখছেন? জবাবে ছাত্রলীগ নেতা বলেন, জি, ভাই দেখলাম। ফোনের অপর পাশ থেকে হাসিব বলেন, আমাদের মামলা এখনো এন্ট্রি হয়নি, কাল হবে। আমরা তো একটা মামলা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন আরেকটা মামলা করবে। লিস্ট তো দেখেছেনই। এ লিস্ট অনুযায়ী আরেকটা মামলা হবে। যেটা হল প্রশাসন করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের রাজনীতিতে গ্রুপিংয়ের কথা উল্লেখ করে হাসিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নেতাকে বলেও লাভ হবে না। আমাদের একটা গ্রুপ আছে। রাজনীতিতে একটা গ্রুপিং আছে। ছাত্রলীগ নেতা বলেন, অবশ্যই জি, ভাই। হাসিব বলেন, আপনি মনে হয় জানেন না। আপনি যদি আবিরকে বলেন, এখন আবির যার সঙ্গে রাজনীতি করে তাকে দিয়েও যদি বলানো হয় লাভ নাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সর্বোচ্চ নেতা কে? আহ্বায়ক রাহি ভাই (বর্তমানে সভাপতি)। উনিও যদি আমাকে মানা করে মামলাটা করো না তাও লাভ হবে না। ছাত্রলীগ নেতা বলেন, জি, ভাই। হাসিব বলেন, আমরা এন্টি রাজনীতি করি।

সভাপতি-সেক্রেটারির এন্টি রাজনীতি করি ক্যাম্পাসে। ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ভাই বুঝতে পারছি। হাসিব বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নেই। আমরা যেটা করব সেটাই। তবে আমি একটু আপনার বিষয়ে কথাবার্তা বলি।’

এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে মোহাম্মাদ আহসান হাবিবের ৫২ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে আহসান হাবিবকে বলতে শোনা যায়, ‘আসামি তো অনেকগুলো। তোমার জায়গায় আরেকটা নাম বসিয়ে দেব। নিজে বাঁচলে বাপের নাম। দলের দিক দেখে লাভ নাই। তুমি নিজে বাঁচো আগে। একটা মামলা খেয়ে গেলে কেউ দেখবে না। একটা পলিটিক্যাল মামলা ১০/১৫ বছর চলে। এ ছাড়া ফোনের অপর পাশে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীকে রুনু-কিবরিয়ার কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাঠাতে বলেন ছাত্রদলের এই নেতা।’

এছাড়া গত বছরের ২২ অক্টোবরে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক সদস্য ফারুক হোসেনকে বহিষ্কার প্রদান করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।