
স্থানীয় গণমাধ্যম এবং পরিবেশকর্মীদের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে এ অঞ্চল থেকে কোটি কোটি টাকার পাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত নৌকায় পাথর পরিবহন করা হচ্ছে, যেখানে কোনো রকম প্রশাসনিক নজরদারিই নেই।
প্রশাসনিক অবস্থা ও প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় প্রশাসন—পুলিশ, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—সদ্য গঠিত টাস্কফোর্স দ্বারা আংশিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বায়াক্রমে অভিযান এবং কয়েকজন শ্রমিককে শাস্তি দিয়েছে, কিন্তু প্রধান অপরাধীদের যথেষ্টভাবে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাদা পাথর লুটপাটের ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। netizens প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এমন ক্ষয়-ক্ষতির ছবি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
সিলেটের ক্রিকেটার রুবেল হোসেন এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীগণ লিখছেন, “সাদা পাথর নেই তো, হারাবে সিলেটের সৌন্দর্য”—এমন আবেগপূর্ণ বার্তা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
পরিবেশ, পর্যটন ও অর্থনীতিতে প্রভাব
অবৈধ উত্তোলন ও লুটপাটের কারণে সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রের প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা বেড়ে গেছে। নদীর তীরের পাতন ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে, এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে
পর্যটক না আসায় স্থানীয় ব্যবসা ও শ্রমজীবীদের আয় কমছে—এটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিরূপ পরিস্থিতি। এছাড়া, প্রশাসনের অপ্রতুল পদক্ষেপ এই ক্ষয় প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছে না।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য দরকার:
প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান
স্থানীয় জনগণ ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও পুনর্গঠনমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ