
বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে দিবসটি যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ, খানকা ও মাদরাসায় কোরআনখানি, জিকির-আজকার, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিশেষ ওয়াজ ও দোয়া অনুষ্ঠান অন্যতম।
ইতিহাস অনুযায়ী, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এদিনে মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত মানবজাতিকে তৌহিদ, ন্যায়, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও শান্তির আলোয় আলোকিত করেন তিনি। আল্লাহর শেষ রসূল হিসেবে তাঁর শিক্ষা, আদর্শ ও জীবনাচরণ সমগ্র মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে আছে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন-
“আর আমি আপনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।” (সূরা আম্বিয়া: ১০৭)
হাদিস শরিফেও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মের মাহাত্ম্য ও তাঁর আনীত দ্বীনের পূর্ণতার বার্তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে ইসলামি দল ও সংগঠনগুলো শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মাহফিল ও গরীব-অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। মসজিদ-মাদরাসায় চলছে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, যেখানে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনাদর্শ তুলে ধরা হচ্ছে।
বিশ্ব মুসলিমের মতো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও আজকের দিনে নবীপ্রেমে উদ্বেলিত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করার মধ্য দিয়েই পৃথিবীতে সত্যিকারের শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মনে করছেন আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষ।