আজ লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস

আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী লালন তিরোধান দিবস। আজ বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫ তম তিরোধান দিবস। কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা মিলিত হয়ে গাইবেন লালনের গান, শোনাবেন তাঁর দর্শন। এবছরে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে দিবসটি।

১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর (১২৯৭ সনের পহেলা কার্তিক) আধ্যাত্মিক সাধক ফকির লালন সাঁই দেহত্যাগ করেন। ধারণা করা হয় বয়স ও শারীরিক দুর্বলতার কারণে। মৃত্যুর পরেও লালনের জীবন ও দর্শন বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।

লালনের গান ও দর্শন আজও বাংলার মানুষের মধ্যে একত্ববোধ ও মানবতাবোধ জাগ্রত করে। তিনি লিখিতভাবে গান রচনা না করলেও মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া গানের সংখ্যা প্রায় ৮০০–২,০০০। তাঁর গান সরল হলেও অর্থবহ, মানুষ ও সমাজের প্রগতিশীলতা নিয়ে।

বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই একজন মানবতাবাদী মানুষ ছিলেন। তার চেতনা ছিল ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সব প্রকার জাতিগত বিভেদের ঊর্ধ্বে। সেখানে ছিল মানবপ্রেম ও মানবতা। সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা বা সংঘাত নয় বরং জাতপাতহীন মানব ধর্মের কথা বলেছেন এই সাধক। যার মুল সুর ছিল অসাম্প্রদায়িকতা। তার মানবতাবাদী গানগুলো এখনও দেশ এবং বিদেশের সঙ্গীতশিল্পীদের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে।