‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ কখন পড়তে হয়

“আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম” — অর্থাৎ আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি — এই দোয়া ইসলামের একটি মৌলিক অংশ। কুরআন তিলাওয়াতের সময়, দোয়া বা নামাজের আগে কিংবা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার প্রয়োজনে মুসলমানরা এটি পাঠ করেন।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন—

“অতএব, যখন তুমি কুরআন পাঠ করতে চাও, তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করো।”
(সূরা আন-নাহল, আয়াত ৯৮)

এই আয়াত থেকেই বোঝা যায়, কুরআন তেলাওয়াত শুরু করার আগে “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম” পড়া ওয়াজিব নয়, তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মুস্তাহাব আমল। এটি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করেন।

কখন পড়তে হয়

কুরআন তেলাওয়াতের আগে: এটি পড়া সুন্নাত।

নামাজে তেলাওয়াত শুরু করার আগে: ইমাম বা মুসল্লি সূরা ফাতিহা শুরু করার আগে গোপনে এ আয়াতটি পড়তে পারেন।

রাগ, ভয়, বা কুমন্ত্রণা এলে: সহিহ হাদিসে এসেছে, নবী করিম ﷺ বলেছেন —

“যখন তোমার মনে শয়তানের কুমন্ত্রণা আসে, তখন বলো — আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।”
(সহিহ বুখারী, হাদিস: ৩২৮২)

রাগ বা বিবাদের সময়: শয়তান মানুষকে রাগান্বিত করে, তাই রাগ এলে এ দোয়া পড়া অত্যন্ত কার্যকর।
আল্লাহর আশ্রয় নিলে প্রশান্তি আসে

আউজুবিল্লাহ বলার মাধ্যমে একজন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর আশ্রয়ে চলে যায়। এতে মন শান্ত হয়, চিন্তা পরিষ্কার হয়, এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা দুর্বল হয়ে যায়।

ইসলাম শেখায়, প্রতিটি কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম নেয়া উচিত — আর শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচতে প্রথমেই পড়া উচিত এই দোয়া:
 
أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
"আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।"


আউজুবিল্লাহ পাঠ শুধু একটি দোয়া নয়, এটি একজন মুসলমানের আত্মিক নিরাপত্তার ঢাল। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে, বিশেষ করে যখন মনের মধ্যে খারাপ চিন্তা বা গাফেলতি আসে — তখনই বলা উচিত এই দোয়া। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করুন।