জাহানারার দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে মঞ্জুরুল ইসলাম প্রায়ই খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়ার নামে শারীরিকভাবে স্পর্শ করতেন, এমনকি আলিঙ্গন বা বুকে টেনে ধরতেন।
জাহানারা আরও বলেন, প্রয়াত তৌহিদ মাহমুদও তাকে একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু নারী উইংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান নাদেল চৌধুরী বিষয়টি জানলেও মঞ্জুরুলকে থামাতে পারেননি। আর বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি।
বিসিবি জানায়, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করতে তারা বদ্ধপরিকর। এমন ধরনের অভিযোগকে বিসিবি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত চলাকালে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে গণমাধ্যমসহ গুজব বা অনুমানের ভিত্তিতে মন্তব্য বা প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিসিবি।
এদিকে, বর্তমানে চীনে অবস্থান করা ৪৬ বছর বয়সী মানজুরুল ইসলাম অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ 'ভিত্তিহীন' বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "সবই মিথ্যা। দলের অন্যান্য মেয়েদেরও জিজ্ঞেস করতে পারেন।"
