দেশে ভয়ংকর ভূমিকম্প: অন্তত ৬ জন নিহত

আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর ২০২৫) সকালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্থানীয় সময় সকালেই অনুভূত এই কম্পনে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু এবং অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পজনিত আতঙ্কে বহু মানুষ ঘরবাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ে রাস্তায় নেমে আসে।

জার্মান গবেষণা কেন্দ্র GFZ এবং অন্যান্য ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭, যা কেন্দ্রীয় বাংলাদেশে তীব্র ঝাঁকুনি তৈরি করে। কম্পন ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়।

এদিকে আরেকটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.৫, যা অগভীর ভূগর্ভে উৎপন্ন হওয়ায় কম্পনের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। এই ঘটনাতেই অন্তত ৬ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ, যা ঢাকা থেকে বেশি দূরে নয়। ভূগর্ভের গভীরতা ছিল খুবই কম, ফলে শহরাঞ্চলে কম্পন বেশি অনুভূত হয়। কলকাতা এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও কম্পন ছড়িয়ে পড়ে।

কম্পনের পর কয়েকটি এলাকায় ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা গেছে। আতঙ্কে দ্রুত ভবন থেকে নামার সময় অনেকে আহত হন। ঢাকার কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়।

ভূমিকম্পের পরপরই স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। কোথাও বড় ধরনের ধ্বংসের খবর না পাওয়া গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে। জরুরি কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

ভূমিকম্পটি বাংলাদেশ আবারও ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থান করছে তা স্মরণ করিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অগোছালো নগরায়ণ এবং দুর্বল অবকাঠামো বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।