রাবিতে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের উল্লাসে মিষ্টি বিতরণ

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর উল্লাস প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করা হয়।

এসময় রাকসু ভবনের সামনে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, জোহা চত্বরসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায় রাকসুর নেতৃবৃন্দকে।

মিষ্টি বিতরণের সময় রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, 'এই রায়কে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এই রায়কে বাস্তবায়ন করার জন্য যেইভাবেই হোক ইন্টারপোলের মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে দেশে এনে সকলের চোখের সামনে তার ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। সকল শহীদ পরিবার, সকল নির্যাতিত মানুষেরা এই শান্তির শান্তিতা এই ইন্টেরিম সরকারের মাধ্যমেই নিতে চাই।'

রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, 'হাসিনার আমলে আমরা অসংখ্য ট্রাজেডি দেখেছি, শাপলা কায়েম হতে দেখেছি, শাহবাগ কায়েম হতে দেখেছি, বিডিয়ার হত্যাকান্ড আমরা দেখেছি। তাই আমার কাছে আজকের এই দিনটা বিশেষ একটি দিন। ২০১৯-এ আমার বাবাকে শুধুমাত্র তার দোকানের উপর জানাতের পোস্টার থাকায় তারা সকলের সামনে কোমড়ে দড়ি পড়িয়ে টেনে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর আমাএ বাবা আজও সাধারণ জীবনে ফিরতে পারেনাই। তাই আমার জন্য এই রায়টি অনেক বড় একটি বিষয়। তাই আমি এখন চাই, অনতিবিলম্বে হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক।'

এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, 'শাপলা ট্রাজেডি, আবরার ফাহাদ হত্যা, ১৮-এর কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ এবং ২৪ এর আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডগুলো হাসিনার নির্দেশনাতেই হয়েছে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষেরা আজ অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত এই রায় নিয়ে। ইতোমধ্যে রাবির একজন শিক্ষককে এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে দেখেছি। আমি তার এই ধৃষ্ঠতায় নিন্দা প্রকাশ করছি এবং সকল শিক্ষার্থীদেরকে আমি অনুরোধ করবো এসকল ফ্যাসিস্টদের সহচরীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন।'

উল্লেখ্য, আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এর রায়ে ৫টি অভিযোগের ৩টিতে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে।