পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান সরকারিভাবে ভারতকে জানাব। চিঠিটি আজ রাতেই বা কাল সকালে, যেভাবেই হোক, পাঠানো হবে।’
তিনি জানান, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন অথবা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে এই চিঠি ভারত সরকারকে পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এর আগে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ‘এখন পরিস্থিতি ভিন্ন ... বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন,’ বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশের অনুরোধটি ভারত-বাংলাদেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনেই পাঠানো হবে।
বিদ্যমান চুক্তির অধীনে ভারত দণ্ডিতদের ফেরত পাঠাতে আইনগতভাবে বাধ্য কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আইনগত ব্যাখ্যার ওপর নির্ভরশীল।
'আমার বোঝাপড়া হলো- আদালত রায়ে দণ্ড ঘোষণার পর তাকে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন, এবং আমরা ভারতকে সরকারিভাবে তা অবহিত করব,' বলেন উপদেষ্টা।
ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন ঢাকা কী করবে?-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'পরিস্থিতি দেখা দিলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'
