মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক।
গতকাল শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিন ১৮৭ বল খেলে ৫টি চারে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। দ্বিতীয় দিন সকালে নিজের মুখোমুখি হওয়া অষ্টম বলে ১ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। বিশ্বের ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন এই ডান-হাতি ব্যাটার।
২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মুশফিকের। ২০ বছর পর বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামেন তিনি।
মুশফিকুরের ইতিহাসময় টেস্টে লিটন ফিরেছেন ছন্দে। মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট ম্যাচটি প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে লিটনের শততম ম্যাচ। এমন ম্যাচে ১১ রান করে ৬ষ্ঠ বাংলাদেশী হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মধ্যে টেস্টে ৬ষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে পেয়েছেন ৩ হাজারী ক্লাবের সদস্যপদ। স্পিনার গ্যাভিন হোয়ে-কে প্যাডেল সুইপ শটে বাউন্ডারিতে পূর্ণ করেছেন ৫ম টেস্ট সেঞ্চুরি। ১৫ মাস পর তার টেস্ট সেঞ্চুরিটি ১৪ ইনিংস বিরতি দিয়ে। মুশফিকুর রহিমের মতো লিটনকেও থামিয়েছেন হামফ্রিস। এবং যথারীতি লিটনও দিয়েছেন স্লিপে ক্যাচ। ২৭৩ মিনিটের ইনিংসে ১২৮ রানে মেরেছেন লিটন ৮ চার, ৪ ছক্কা। এমন একটি দিনে ফিফটি হাতছাড়া করেছেন মিরাজ। ৪৭ রানের মাথায় লেগ স্পিনার গ্যাভিন হোয়ের বলে হাফ হার্টেড শট নিতে যেয়ে পয়েন্টে দিয়েছেন ক্যাচ মিরাজ। যে ইনিংসে মেরেছেন মিরাজ ৪ চার, ১ ছক্কা।
প্রথম দিন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৯২/৪। দ্বিতীয় দিন শেষ ৬ জুটি যোগ করেছে ১৮৪ রান। থেমেছে বাংলাদেশ ৪৭৬-এ। দ্বিতীয় দিনের টি ব্রেকের আধ ঘন্টা আগে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস।
