নীলফামারী:
বিশ্ব যখন করোনায় আতঙ্কিত। জেলায় মিলছে না স্যানিটাইজেনসহ সার্জিক্যাল মাস্ক। ঠিক তখনী এ পরিস্থিতির মোকাবেলায় বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি নিজস্ব অর্থায়নে জেলা শহরের কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এ- কলেজের অস্থায়ী ল্যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. আব্দুল মুহিদ একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে নিয়ে তৈরী করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন।

মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্টস্ সমিতির ব্যানারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সামনে তৈরীকৃত এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন ও মাস্ক জেলার সর্বস্তরের মানুষজনের মাঝে বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার, বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিটির পরিচালক ও নীলফামারী কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, সহসভাপতি সহিদুল ইসলাম, তোবারক আলী, সফিউল আলম, জেলা ডিবেট ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা রহমনান ডেইজি প্রমুখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. আব্দুল মুহিদ সাংবাদিকদের জানান, “হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন মুলত: আইসোপ্রোফাইল অ্যালকোহোল। এবং আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে স্বীকৃত ফরমুলা রয়েছে সেই ফরমুলা অনুযায়ী তৈরী করছি। এর উপকরণ সব আমরা ঢাকা থেকে সংগ্রহ করেছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার মুলত হাতে মাখার জন্য ব্যাবহার করা হয়, এটি ব্যাবহার করে আগুনের কাছে যাওয়া যাবে না। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চেয়ে সাবান বেশি কার্যকর। কিন্তু আমরা চলার পথে গণপরিবহনে বা বাজারে, টাকা লেনদেনের সময় বা ব্যাংকে অনেক সময় হতে পারে আমাদের হাতের কাছে সাবান বা পানি নেই। তখন আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করতে পারি। এটি অল্প পরিমানে হাতে নিয়ে ভালোভাবে মাখতে হবে। এটা কখনো খাওয়া যাবে না, মুখে দেওয়া যাবে না, চোখে লাগানো যাবে না।”

বাংলাদেশ কেমিস্ট এ- ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ জানান,“নীলফামারীর সন্তান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. আব্দুল মুহিদ এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রূপম মহসিন রেজা ওই হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করলে সংগঠনের পক্ষে সেই উদ্যোগের অর্থ যোগান দেওয়া হয়”। তিনি আরো জানান, প্রতিদিন এক হাজার পিস তৈরীতে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার টাকার উর্দ্ধে। পাঁচ হাজার পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন তৈরীর প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে”।

জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “এটি একটি ভালো উদ্দ্যোগ, এখানে শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন। ভালো কাজে যে যার মতো উদ্দ্যোগ নেন, আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে বলবো, সব ভালো উদ্যোগের সঙ্গে আমি ও আমার সমস্ত প্রচেষ্ঠাকে আপনাদের সঙ্গে এক করে এই জেলার লোকজনকে করোনা মুক্ত রাখার চেষ্টা করবো।