বিশ্বের ১০৪তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ইতালি থেকে দেশে ফেরা দুই ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া তাদের সংস্পর্শে আসা দেশের আরও একজনের শরীরেও পাওয়া গেছে এই ভাইরাসের উপস্থিতি।
আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, এ পরিস্থিতিতে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে জনসমাগম ও গণপরিবহন যতটাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। এর সঙ্গে নিয়মিত হাত ধুতে হবে ও কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেশকিছু নির্দেশনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক এই স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই নির্দেশনা মেনে চললে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

শহরের বাতাসে যেমন মিশে আছে মাত্রাতিরিক্ত ধুলিকনা আর যানবাহনের ধোঁয়া তেমনি অসংখ্য জীবাণু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO এর তথ্য অনুযায়ী চিনের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা সহ পুরো বাংলাদেশে ও। এমতাবস্থায় বায়ুদূষণ ও করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে আমাদের যথাযথ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত । আর এর লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং মাস্ক ব্যাবহারে উদ্বুদ্ধ করছে ভিবিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন।

এদিকে করোনার আতঙ্কে অন‍্যান‍্য দেশের মতো বাংলাদেশে ও মাস্ক ব‍্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গেছে,সেই সুযোগে
রোগটিকে ডাল হিসেবে ব‍্যবহার করে এক ধরনের অসাধু ব‍্যবসায়ী মাস্ক ব‍্যবহারের প্রয়োজনিয়তা দেখিয়ে ৫০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দুইশো টাকায়, কোন কোন জায়গাই আরো বেশি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। গত রবিবার করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়ার কথা শুনে সেটা আরো মহামারি আকার ধারন করেছে বলে জানা যায়।ভুক্তভোগি আজমল নামের এক ছাত্রের কাছে এই ব‍্যাপারে জানতে চাইলে সে বলে আজকে আমি প্রায় অনেক ফার্মেসিতে মাস্ক কিনতে গিয়ে ও পায়নি অতচ গতকাল ও অনেক মাস্ক আমি দেখেছি, কিন্তু এখন বলছে নাই,এই ব‍্যাপারে এক ফার্মেসির মালিক কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন হঠাৎ করে বাজারে মাস্ক কমে গেছে কোম্পানিরা আমাদের মাস্ক দিচ্ছে না এবং তারা ও আমাদের কাছ থেকে দাম বেশি নিচ্ছে তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান। একটি রোগ যেখানে অনেক গুলো জীবন ধংসের কারন সেখানে তাকে সবাই মিলে সম্মেলিত ভাবে প্রতিরোধ ও জন সচেতনতা সৃষ্টি না করে নিজেদের ক্ষীন ব‍্যবসায়ী ও লোভী মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে,তাই সরকারের উচিত এই ধরনের মজুমদার ব‍্যবসায়ী যারা জীবনের চেয়ে অর্থকে মুল‍্যবান করে তুলে সেই সব অবৈধ ব‍্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠোরতর শাস্তি প্রধান করা।