নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র একজন চিকিৎসকের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পুরো উপজেলার ৯টি ইউনিয়নকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
৬ এপ্রিল নীলফামারী জেলার করোনা (কোভিট-১৯) এর উপসর্গ থাকায় করোনা সন্দেহে সাত জনের নমুনা সংগহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। ৭ এপ্রিল ওই সাতজনের মধ্যে একজনের কোভিট-১৯ পজেটিভ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন নীলফামারী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে আসে। ওই একজনই হলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র চিকিৎসক অনিক সরকার।
জানা গেছে, অনিক সরকার নামে এই চিকিৎসকের বাড়ি ঢাকায়। তিনি গত ২৫ মার্চ ছুটিতে ঢাকা গিয়েছিলেন। ৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে নিজ কর্মস্থলে ফিরে এসে করোনা (কোভিট-১৯) এর উপসর্গ নিয়েই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, আক্রান্ত ডাক্তারকে ওই উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ওই চিকিৎসকের ট্রান্সমিশনে (সংস্পর্শে) যারা এসেছিলেন তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যারা রয়েছেন তাদেরও কোয়ারেন্টাইন করা হবে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি লকডাউন করা হয়েছে”।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকেই জেলা জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে থমথমে আতঙ্ক। এরফলে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম ও হাটবাজার গুলো লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
