পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিমান্ডে থাকা রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ভতি করা হয়। কিন্তু শারীরিক কোনও সমস্যা পাননি চিকিৎসকরা।


বিএসএমএমইউ’প হাসপাতালে কয়েক দফা পরীক্ষা শেষে তাই দ্বিতীয় দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহেদকে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তাকে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানে তার দ্বিতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।

এর আগে, বুকে ব্যথার কথা বলায় সোমবার সাহেদকে বিএসএমএমইউ-তে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। এরপরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।

গত ১৭ আগস্ট বেলা ১১টায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাহেদকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।

পদ্মা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৭ জুলাই শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সাহেদসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামিরা হলেন−পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। সোমবার বিকাল ৫টায় প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রমনা থানা পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় সাহেদকে। সেখানেই অসুস্থ বোধ করার কথা জানান সাহেদ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এর আগে গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা আনার পর সাহেদ দাবি করেছিলেন, তার বুকে ব্যথা। সেদিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি বলে জানান চিকিৎসকরা।