| ব্যুরো প্রধান, কিশোরগঞ্জ 
কিশোরগঞ্জ বারো ভূইয়ার এক ভূইয়া রাজা ঈশা খাঁ থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সাধীনতার সংগ্রাম পরিচালনা করেছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেই সৈয়দ নজরুল ইসলাম , জিল্লুর রহমান, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের টানা দুইবারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রয়াত জননেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতো গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বহু উচ্চপদস্থ দায়িত্বে থাকা গুনী ও ত্যাগী নেতাদের জেলা শহর এই কিশোরগঞ্জ। তাই কিশোরগঞ্জ পৌরসভাকে বলা হয় ভিআইপিদের পৌরসভা।

ভি আই পিদের এই কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্ত ও ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হওয়ার পর থেকে বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

তবে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে শহরের ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজ কেন্দ্রে বেলা ১২ টায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং একপর্যায়ে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম। এ সময় দু'পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার পর রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম কেন্দ্র পরিদর্শন করে কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন।

পৌর এলাকার অধিকাংশ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৮টায় ভোট শুরু হওয়ার পর থেকে দলে দলে ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুরুষ ও নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ার মতো। সরেজমিনে চ্যানেল সেভেন টেলিভিশনের সংবাদকর্মীরা সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখার সময় সাধারণ ভোটাররা চ্যানেল সেভেন টেলিভিশনকে জানান দীর্ঘদিন পর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভোট দিতে পেরে বেশ সন্তোষ ও স্বস্থি প্রকাশ করেছেন তারা।এদিকে প্রতিটি কেন্দ্রেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন বজায় রাখতে বিপুলসংখ্যক আইন শৃংখলা  বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়।

দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ২৮টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৭১ হাজার ৮৪ জন।