সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় হত্যার ৫দিন পর ব্রীজের নীচের ডোবা থেকে চা বিক্রেতা ইয়াসিন আলীর দ্বিখণ্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে র্যাব। হত্যার অভিযোগে বন্ধু জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার আলীপুর চঁাপারডাঙ্গা এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। সে পৌরসভার গড়েরকান্দা এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, পাওনা ২০ হাজার টাকা আদায় করতে না পেরে চা বিক্রেতা ইয়াসিন আলীকে গলা কেটে হত্যা করে জাকির হোসেন।
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা শহরতলীর বাইপাস সড়কের কামালনগর এলাকার ব্রীজের নীচের ডোবা থেকে ইয়াসিন আলীর দ্বিখণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (৩১ আগষ্ট) সকালে ইয়াসিন আলীর মাথাবিহীন খণ্ডিত দেহ বকচরা এলাকার একটি ঘের থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার ০৪ সেপ্টেম্বর)সকালে দ্বিখণ্ডিত মাথা উদ্ধারের পরে কামালনগর এলাকায় আয়োজিত
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান, উপজেলা
পরিষদের সামনের একটি চায়ের দোকানের মালিক ইয়াসিন আলীর সাথে জাকির হোসেনের বন্ধুত্ব ছিল। ব্যবসার কথা বলে ইয়াসিন জাকিরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় জাকিরের সাথে গত সপ্তাহে ইয়াসিনের তুমুল ঝগড়া হয়। প্রতিশোধ নিতে ফন্দি আটে জাকির।
গোলযোগপূর্ণ জায়গায় স্থাপনা নির্মাণে রাজমিস্ত্রির কাজ করার কথা বলে মঙ্গলবার রাতে ইয়াসিনকে বাইপাস সংলগ্ন বকচরা মোড় এলাকায় নিয়ে যেয়ে গল্প করতে থাকে। মধ্যরাতে আশেপাশের কেউ না থাকার সুযোগে ইয়াসিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখমের একপর্যায়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে দেহ পাশের একটি ঘেরে আর মাথা ১কি.মি. দূরে ব্রীজের নীচের ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।আইনগত প্রক্রিয়া শেষে জাকিরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ।
পরিষদের সামনে চা বিক্রি করতেন। ওই দিন রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা শহরতলীর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ঘের থেকে বুধবার সকালে ইয়াসিন আলী নামের এক চা বিক্রেতার মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং সদর উপজেলা
পরিষদের সামনে চা বিক্রি করতেন। ওই দিন রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।