|ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে রাতভর মারধর ও নির্যাতন করে সাইফুল ইসলাম ওরফে রাসেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি আফতাব উদ্দিন ওরফে রাব্বীসহ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, চাঁদাবাজির টাকা ভাগবাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে মতবিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
গ্রেপ্তার বাকি আসামিরা হলেন, আলমগীর হোসেন ওরফে ঠান্ডু আলমগীর (৩৯), আমির হোসেন (৩৮), মো. শিপন (৩১), দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু (৩৭), মো. রনি ওরফে ভাইস্তা রনি (৩৫), অনিক হাসান ওরফে হীরা (৩০), মো. সজীব (৩৬), ফিরোজ মিয়া (৩১), রাজীব আহমেদ (৩৫), মাহফুজুর রহমান (৩৬) ও রতন শেখ (২৮)।
তবে রাসেল হত্যা মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা। তাঁদের ও তাঁদের বাড়িতে আসা–যাওয়া করা সবাইকে নজরদারিতে রাখছেন সাইফুল হত্যাকাণ্ডের হোতা আফতাব উদ্দিন ওরফে রাব্বীর পরিবারের লোকজন।
জানা যায়, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে ‘টর্চার সেল’ বানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন ওরফে রাব্বী। চাঁদা না পেলে তাঁর ‘আব্বা বাহিনী’ দিয়ে মানুষকে তুলে এনে সেখানে নির্যাতন চালানো হতো। ওই ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর এসব কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আফতাব উদ্দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বাবা বাছের উদ্দিন শুভাঢ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তাঁর চাচা ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁদের ক্ষমতায় আফতাব স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ বাগিয়ে নেন। এর পর থেকে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁর বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হওয়ার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আব্বা বাহিনীর সদস্য প্রায় ৪০ জন। এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, ঝুট, কেব্ল টেলিভিশন (ডিশ) ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। কোনোভাবে এসব কাজে কেউ বাধা দিলে তারা হামলা
তবে রাসেল হত্যা মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাঁরা। তাঁদের ও তাঁদের বাড়িতে আসা–যাওয়া করা সবাইকে নজরদারিতে রাখছেন সাইফুল হত্যাকাণ্ডের হোতা আফতাব উদ্দিন ওরফে রাব্বীর পরিবারের লোকজন।
জানা যায়, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে ‘টর্চার সেল’ বানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন ওরফে রাব্বী। চাঁদা না পেলে তাঁর ‘আব্বা বাহিনী’ দিয়ে মানুষকে তুলে এনে সেখানে নির্যাতন চালানো হতো। ওই ‘টর্চার সেলে’ নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর এসব কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ছবি: আফতাব উদ্দিনের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত |
আব্বা বাহিনীর সদস্য প্রায় ৪০ জন। এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখল, ঝুট, কেব্ল টেলিভিশন (ডিশ) ও তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। কোনোভাবে এসব কাজে কেউ বাধা দিলে তারা হামলা
করে, কুপিয়ে জখম করে এবং নির্যাতন কেন্দ্রে (টর্চার সেল)নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করে।
এ বাহিনী দিয়ে তাঁরা কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টসপল্লির আগানগর, পূর্ব আগানগর, খেজুরবাজ, কালীগঞ্জ, চরকালীগঞ্জ, কালীগঞ্জ ডকইয়ার্ড, নুরু মার্কেট, গুদারাঘাট ও সদরঘাট এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতেন।