শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

এসেছে এল নিনো, বিপদে বাংলাদেশ


আবহাওয়াবিদরা বারবার বলছেন, এল নিনো আসছে। ফলে কমে যেতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ, বাড়তে পারে গরম। এই এল নিনো আসলে কী? দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায় এল নিনো। তাহলে বাংলাদেশে কেন এর প্রভাব পড়ে?

১৬ শতকের কথা। দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের একদল জেলে মাছ ধরছিলেন। এ সময় তাঁরা প্রথম খেয়াল করলেন সমুদ্রজল তুলনামূলক উষ্ণ। অথচ এমনটা থাকে না। এ অঞ্চলের পানি স্বাভাবিক বা তুলনামূলক শীতল থাকে। অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতির নাম তাঁরা দিলেন ‘এল নিনো দে নাভিদাদ’।

এল নিনো কথাটিও স্প্যানিশ। এর অর্থ, ছোট বালক। এখন আর এল নিনো শুধু ডিসেম্বরে আসে না। এপ্রিল-মের দিকেও দেখা যায় এ পরিস্থিতি।

আসলে, এল নিনো মানে প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত। এই স্রোতের ফলে উষ্ণ হয়ে ওঠে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল, বিশেষ করে পেরুর দিকের পানি। এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধের পুবালী বায়ুর প্রবাহ বদলে যায়।

পুবালী বায়ু যখন পুবে না বয়ে পশ্চিমে বয়ে যায়, তখন অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার—এই পুরো অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়।

বাংলাদেশ, ভারত বা দক্ষিণ এশিয়ার বিষয়টা কী? পুবালী বায়ু যখন পুবে না বয়ে পশ্চিমে বয়ে যায়, তখন অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার—এই পুরো অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। কারণ, বাতাসের প্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে বয়ে নিতে থাকে পশ্চিম দিকে। ফলে পশ্চিমের দিকে বৃষ্টি বাড়ে। আর বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত—এসব অঞ্চলে দেখা দেয় বৃষ্টির অভাব। বেড়ে যায় তাপমাত্রা। শুকিয়ে যায় মাটি। এমনকি খরাও দেখা দিতে পারে।

এল নিনোর উল্টো ঘটনার নাম লা নিনা। যেসব বছর এই লা নিনা থাকে, সেসব বছর প্রশান্ত মহাসাগরের সাধারণ অবস্থা আরও তীব্র হয় পুবালী বায়ুপ্রবাহের জন্য। লা নিনার সময়ে পুবালী বায়ুপ্রবাহের গতি বেড়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ায় বায়ুর উর্ধ্বমুখী পরিচলনের ফলে ভারী বৃষ্টি হয়। এর ছোঁয়া লাগে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমারসহ আশপাশের অঞ্চলেও। ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি এ সময় বন্যাও হতে দেখা যায়।

এল নিনো সাধারণত প্রতি চার থেকে সাত বছরে একবার দেখা যায়। এর স্থায়িত্ব ১২-১৮ মাস। তবে গত কয়েক বছরে কয়েকবার এল নিনো দেখা গেছে ও এটি বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত লা নিনা।

বাংলাদেশ, ভারত বা দক্ষিণ এশিয়ায়

পুবালি বায়ু যখন পুবে না বয়ে পশ্চিমে বয়ে যায়, তখন অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার- এই পুরো অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। কারণ, বাতাসের প্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে বয়ে নিতে থাকে পশ্চিম দিকে। ফলে পশ্চিম দিকে বৃষ্টি বাড়ে। আর বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত—এসব অঞ্চলে দেখা দেয় বৃষ্টির অভাব। বেড়ে যায় তাপমাত্রা। শুকিয়ে যায় মাটি। এমনকি খরাও দেখা দিতে পারে।